সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মুঘল সাম্রাজ্য ইতিহাস


  • বাবর 1526 খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে জয়লাভ করে এবং ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
  • পিতার দিক থেকে বাবর তৈমুর লং এর উত্তরসূরী।
  • মাতার দিক থেকে চেঙ্গিস খাঁর উত্তরসূরী।
  • পানিপথের প্রথম যুদ্ধের পর বাবর নিজেকে দিল্লির বাদশা বলে ঘোষণা করেন।
  • খানুয়ার যুদ্ধ 1527 খ্রিস্টাব্দে হয় বাবর এবং রানা সংগ্রাম সিং এর মধ্যে।
  • খানুয়ার যুদ্ধে বাবর জয়লাভ করেন।
  • গোয়ালিয়রের চান্দেরি দুর্গের মেদিনী রায়ের নেতৃত্বে রাজপুত্র সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছিল এবং বাবরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল এই যুদ্ধে মেদিনী রায়কে পরাজিত করে চান্দেরি দুর্গ দখল করেন বাবর।
  • 1529 খ্রিস্টাব্দে গঙ্গা এবং ঘর্ঘরা নদীর সঙ্গমস্থলে  বাবর মাহমুদ লোদীকে পরাজিত করেন এবং এই যুদ্ধ ঘর্ঘরার যুদ্ধ নামে পরিচিত।
  • বাবর উজবেগি ও তুর্কিদের কাছ থেকে তুঘলুমা যুদ্ধনীতি আয়ত্ত করেন।
  • বাবর যুদ্ধক্ষেত্রে রুমি পদ্ধতি অনুসরণ করেন।
  • বাবর পানিপথের প্রথম যুদ্ধে প্রথম আগ্নেয়াস্ত্রসহ ব্যবহার করেন।
  • বাবর এর আত্মজীবনী তুজুক ই বাবরি তুর্কি ভাষায় রচিত একটি লেখা।
  • বাবুর দুটি মসজিদ স্থাপন করেন প্রথমটি পানিপথের কাবুলিবাগে আর দ্বিতীয়টি রোহিলাখডের সম্বলে।
  • কালিঞ্জর দুর্গের অধিপতি প্রতাপারুদ্র বিরুদ্ধে হুমায়ুন যুদ্ধযাত্রা করেন 1531 খ্রিস্টাব্দে।
  • দৌরার যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীর ভাই মামুদ লোদী এব‍ং চুনা দুর্গের অধিপতি শের খাঁ একটি সম্মিলিত শক্তি জোট গঠন করেন এই শক্তির বিরুদ্ধে হুমায়ুন যুদ্ধ করে এই শক্তিজোট কে হারিয়ে দেয়।
  • কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ূন এবং তার ভাই কামরান শেরশাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত হুমায়ুন পরাজিত হন এবং শেরশাহ দিল্লি আগ্রার অধিপতি হন।
  • শেরশাহ দিল্লিতে তার দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করেন।
  • হুমায়ুনের সমাধি স্তম্ভ কে তাজমহলের প্রোটোটাইপ বলা হয়ে থাকে।
  • হুমায়ুনের বোন গুলবদন বেগম হুমায়ুনের আত্মজীবনী রচনা করেছিলেন জাহান্নাম হুমায়ুননামা।
  • শেরশাহ ছিলেন হাসান খানের পুত্র এবং হাসান খান ছিল সাসারামের জায়গীরদার।
  • 1540 খ্রিস্টাব্দে শেরশাহের শাসক হন।
  • 1540 সালে বিল্লগ্রাম বা কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করেন।
  • শেরশাহের শাসন ব্যবস্থায় দিওয়ান ই ওয়াজিরত ছিলেন অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের প্রধান।
  • দিওয়ানি আরিজ ছিলেন সামরিক প্রধান।
  • দেওয়ানী রসালত বিদেশ মন্ত্রী।
  • দেওয়ান-ই-ইমশা যোগাযোগমন্ত্রী।
  • শেরশাহের রৌপ্য মুদ্রা দাম হিসেবে অভিহিত করেছিলেন যা  1835 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রচলিত ছিল।
  • চারটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শেরশাহ। সোনারগাঁ থেকে সিন্ধু পর্যন্ত। আগ্রা থেকে বহরমপুর পর্যন্ত। যোধপুর থেকে চিতোর পর্যন্ত। লাহোর থেকে মুলতান পর্যন্ত।
  • দিল্লির নিকটে যমুনা নদীর তীরে নতুন শহর নির্মাণ করেন।
  • মালিক মোহাম্মদ জায়সীর লেখা বিখ্যাত হিন্দি রচনা পদ্মাবতীর প্রকাশিত হয়েছিল।
  • শেরশাহ হযরত আলা খেতাব করায়ত্ত করেন।
  • তিনি তার সারা রাজ্যে রুপায়া নামে মুদ্রা প্রবর্তন করেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নবম শ্রেণী :: ভৌত বিজ্ঞান :: অধ্যায় :-6 :: তাপ

@ তাপ এক প্রকার শক্তি যা গ্রহণে বস্তুর উষ্ণতা বাড়ে এবং যা বর্জন করলে বস্তুর উষ্ণতা কমে। @  অবস্থার পরিবর্তন না ঘটিয়ে যদি শুধু কেবলমাত্র উষ্ণতা  বৃদ্ধি করে তাহলে সেই তাপকে বলা হয় বোধগম্য তাপ। বস্তুর উষ্ণতা বৃদ্ধি থার্মোমিটারের সাহায্যে পরিমাপ করা হয় @ উষ্ণতার পরিবর্তন না ঘটিয়ে শুধু কেবলমাত্র অবস্থার পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় তাপ হল লীন তাপ। লীন তাপ এর মাত্রীয় সংকেত - L^2T^-2। @ অন্যভাবে লীন তাপ এর সংজ্ঞা দেওয়া যেতে পারে:- নির্দিষ্ট চাপে একক ভরের কোন পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে পরিমান তাপ প্রয়োগ বা নিষ্কাশন করতে হয় সেই পরিমাণ তাপকে ওই পদার্থের সংশ্লিষ্ট অবস্থার পরিবর্তনের লীন তাপ বলে। @ ক্যালরিমিতির মূলনীতি :- ভিন্ন উষ্ণতার একাধিক বস্তুকে  পরস্পরের সংস্পর্শে আনা হলে বস্তু গুলির মধ্যে  তাপের আদান প্রদান ঘটে যদি অন্য কোন ভাবে তাপক্ষয় না হয় তাহলে উষ্ণ বস্তুগুলি দ্বারা বর্জিত তাপ এবং শীতল বস্তুগুলি  দ্বারা গৃহীত তাপ সমান হয় এটাই ক্যালরিমিতির মূলনীতি। @ অর্থাৎ কোন বস্তু দ্বারা গৃহীত তাপ = বস্তুর ভর × বস্তুর আপেক্ষিক তাপ × উষ্ণতার ...

দশম শ্রেণী : জীবন বিজ্ঞান : পপুলেশন

১) পপুলেশন কি? ¶ -  বিশেষ কোন ভৌগলিক অঞ্চলে বসবাসকারী একই প্রজাতিভুক্ত জীব গোষ্ঠী কে বলা হয় পপুলেশন।  অর্থাৎ কোন বিশেষ বাস্তু তন্ত্রের বা বাসস্থানের কোন প্রজাতিভুক্ত সমস্ত জীবের সমাহারই হলো পপুলেশন বা জনসংখ্যা। ২) পপুলেশন এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি? ¶ - পপুলেশন এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো :-  ক) পপুলেশন ঘনত্ব বা পপুলেশন ডেন্সিটি  :- কোন ভৌগলিক অঞ্চলের একক ক্ষেত্রে বা একক আয়তনে যে পরিমাণে কোন প্রজাতির জীব বাস করে তাকেই পপুলেশন ঘনত্ব বলে । যেমন :- কোন একটি বনে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে যতগুলো হরিণ কিংবা যতগুলো হাতি থাকে প্রতি একর জমিতে যতগুলো আম গাছ থাকে সেই সংখ্যাটি কে পপুলেশন ঘনত্ব হিসেবে ধরা হয়। খ) নেটালিটি বা জন্মহার :- পপুলেশন প্রজাতির সদস্যরা যে হারে সন্তান-সন্ততি জন্ম দেয় তাকে বলে ন্যাটালিটি। অর্থাৎ  একক সময়ে জনন এর মাধ্যমে যে সংখ্যায় নতুন সদস্য পপুলেশনে যুক্ত হয় তাকে ন্যাটালিটি বলে। গ) মর্টালিটি বা  মৃত্যুহার :- একক সময়ে কোন পপুলেশন এ যে সংখ্যায় জীবের মৃত্যু ঘটে তাকে মর্টালিটি বা  মৃত্যুহার বলে। ...

সপ্তম শ্রেণী :- পলিথিন ও পলিমার

@  পলিথিন কি  পলিথিন হলো ইথিলিনের পলিমার ।এটি অত্যন্ত নমনীয় এবং জল রোধক পদার্থ । @ এর ব্যবহার উল্লেখ করো :- এর  ব্যবহার গুলি হল – টেবিলের ঢাকনা ,খেলনা ,সিমেন্টের বস্তা ,বৈদ্যুতিক তারের আচ্ছাদন প্রভৃতি প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয় । @ পলিমারের শ্রেণীবিভাগ কর এবং এদের ব্যবহার উল্লেখ করো । উৎসের উপর ভিত্তি করে পলিমারকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয় ১) প্রাকৃতিক পলিমার ২) সংশ্লেষিত বা কৃত্রিম পলিমার ৩) অর্ধ কৃত্রিম বা অর্ধ সংশ্লেষিত পলিমার । @ প্রাকৃতিক পলিমার :- প্রকৃতি থেকে অর্থাৎ প্রাণী এবং উদ্ভিদের দেহ থেকে যে সমস্ত পলিমার পাওয়া যায় তাদের প্রাকৃতিক পলিমার বলে । যেমন – সেলুলোজ, প্রোটিন  ইত্যাদি। @ কৃত্রিম পলিমার :- রসায়নাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরি পলিমারকে সংশ্লেষিত বা কৃত্রিম পলিমার বলে। যেমন - পলিইথিলিন, পিভিসি (PVC) ইত্যাদি। @ অর্ধ সংশ্লেষিত বা  অর্ধ কৃত্রিম পলিমার:- প্রাকৃতিক পলিমার এর সঙ্গে অন্য পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে কৃত্রিম ভাবে যে পলিমার তৈরি হয় তাকে অর্ধ সংশ্লেষিত বা অর্ধ কৃত্রিম পলিমার বলে ।যেমন :-সেলুলোজ নাইট্রেট প্রা...