সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নবম শ্রেণী : পদার্থ বিজ্ঞান: অধ্যায়:- শব্দ

শব্দ (SOUND)
শব্দ হলো এক ধরনের শক্তি । যা কোন বস্তু কণার কম্পনের ফলে সৃষ্টি হয়।
আমাদের গলায় অবস্থিত স্বরতন্ত্রী বা ভোকাল কর্ড ও একই ভাবে শব্দ উৎপন্ন করে। কথা বলার সময় ফুসফুস থেকে আসা নিঃশ্বাস বায়ু শ্বাসনালীর মধ্য দিয়ে গিয়ে স্বরতন্ত্রী তে কম্পন উৎপন্ন করে স্বরতন্ত্রী দ্বয়ের কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয় , যেটি কণ্ঠস্বর নামে পরিচিত। স্বরতন্ত্রী দায়ের স্থিতিস্থাপকতা নিয়ন্ত্রণ করে থাইরোঅ্যারিটেনয়েড পেশি।
একটি সুরশলাকার একটি বাহুতে রবারের হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হলে শব্দ উৎপন্ন হয় । এবার সূরশলাকার যে কোন একটা বাহুর গতি যদি খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেখা যাবে এ বাহুটা দ্রুত তার সামনের অবস্থান সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ে একই পথে যাতায়াত করছে এবং গতিপথের যে কোন একটি বিন্দু কে পর্যায়ক্রমে বিপরীত দিক থেকে অতিক্রম করছে এই ধরনের গতি হলো কম্পন বা দোলন।






                                       
শব্দের কম্পন সম্পর্কিত কয়েকটি রাশি :- 
শব্দ কম্পন সম্পর্কিত কয়েকটি রাশি হল বিস্তার ,পর্যায় কাল , কম্পাঙ্ক।
বিস্তার কাকে বলে? 
কম্পনশীল কনার সাম্যের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ সরণকে  বিস্তার বলা হয়।
O একটি কম্পনশীল কনার সাম্য অবস্থান যেখান থেকে AB সরলরেখা টির মধ্যে  কম্পিত হচ্ছে। OA এবং OB যথাক্রমে ডান দিকে এবং বাম দিকে সর্বোচ্চ সরণ অতএব OA =OB হল বিস্তার।

পর্যায় কাল কাকে বলে? 
কম্পনশীল কোন কণা একটি পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করতে যে সময় নেয় তাকে পর্যায়কাল বলে।



কম্পাঙ্ক কাকে বলে? 
কম্পনশীল কোন কণা 1 সেকেন্ডে যতবার পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করে তাকেই কম্পাঙ্ক বলা হয়।



দোলন ও কম্পন একি  বলা হলেও সাধারনত কম্পাঙ্ক কম হলে কণার  সেই গতিকে দোলন এবং কম্পাঙ্ক বেশি হলে কণার  সেই গতিকে কম্পন বলে ।


কোন কম্পনশীল কনার 1 সেকেন্ডে পূর্ণ দোলন হয় 10 বার , তাহলে কণার কম্পাঙ্ক হবে 10Hz।
কোন কম্পনশীল কনার পর্যায় কাল T হলে  T সেকেন্ডে কনার পূর্ণ দোলন হয় 1 বার । অর্থাৎ এক সেকেন্ড সময়ে কনার পূর্ণ দোলন হয় 1 /T বার।  অতএব কম্পাঙ্ক (n) =1/T
শব্দ কঠিন তরল এবং গ্যাসীয় এই তিন ধরনের মাধ্যমের মধ্য দিয়েই বিস্তার লাভ করতে পারে এছাড়া পরীক্ষার সাহায্যে দেখা গেছে যে শব্দ বিস্তারের জন্য অবশ্যই জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয় শূন্যস্থান এর মধ্য দিয়ে কখনই শব্দ বিস্তার লাভ করতে পারে না সেই কারণে সূর্য বা অন্যান্য কোন নক্ষত্রে বিস্ফোরণ হলে আমরা সেই শব্দ শুনতে পাই না তার কারণ সূর্য কিংবা নক্ষত্র এবং পৃথিবীর মাঝে বেশিরভাগ স্থান শূন্য।
/✓ শব্দ কিভাবে বিস্তার লাভ করে কোন মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে ? এবং কোন মাধ্যম ছাড়া অর্থাৎ শূন্যস্থানে শব্দ বিস্তার লাভ করতে পারে কিনা ? কিংবা সূর্য বা অন্যান্য নক্ষত্রে অবিরত বিস্ফোরণ হয়ে চলেছে কিন্তু আমরা পৃথিবী থেকে সেই বিস্ফোরণের কোন শব্দ শুনতে পাই  না কেন? শব্দ কঠিন মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে তার একটি উদাহরণ দাও ? শব্দ তরল মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে তার একটি উদাহরণ দাও ? শব্দ গ্যাসীয় মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে তার একটি উদাহরণ দাও?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নবম শ্রেণী :: ভৌত বিজ্ঞান :: অধ্যায় :-6 :: তাপ

@ তাপ এক প্রকার শক্তি যা গ্রহণে বস্তুর উষ্ণতা বাড়ে এবং যা বর্জন করলে বস্তুর উষ্ণতা কমে। @  অবস্থার পরিবর্তন না ঘটিয়ে যদি শুধু কেবলমাত্র উষ্ণতা  বৃদ্ধি করে তাহলে সেই তাপকে বলা হয় বোধগম্য তাপ। বস্তুর উষ্ণতা বৃদ্ধি থার্মোমিটারের সাহায্যে পরিমাপ করা হয় @ উষ্ণতার পরিবর্তন না ঘটিয়ে শুধু কেবলমাত্র অবস্থার পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় তাপ হল লীন তাপ। লীন তাপ এর মাত্রীয় সংকেত - L^2T^-2। @ অন্যভাবে লীন তাপ এর সংজ্ঞা দেওয়া যেতে পারে:- নির্দিষ্ট চাপে একক ভরের কোন পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে পরিমান তাপ প্রয়োগ বা নিষ্কাশন করতে হয় সেই পরিমাণ তাপকে ওই পদার্থের সংশ্লিষ্ট অবস্থার পরিবর্তনের লীন তাপ বলে। @ ক্যালরিমিতির মূলনীতি :- ভিন্ন উষ্ণতার একাধিক বস্তুকে  পরস্পরের সংস্পর্শে আনা হলে বস্তু গুলির মধ্যে  তাপের আদান প্রদান ঘটে যদি অন্য কোন ভাবে তাপক্ষয় না হয় তাহলে উষ্ণ বস্তুগুলি দ্বারা বর্জিত তাপ এবং শীতল বস্তুগুলি  দ্বারা গৃহীত তাপ সমান হয় এটাই ক্যালরিমিতির মূলনীতি। @ অর্থাৎ কোন বস্তু দ্বারা গৃহীত তাপ = বস্তুর ভর × বস্তুর আপেক্ষিক তাপ × উষ্ণতার ...

দশম শ্রেণী : জীবন বিজ্ঞান : পপুলেশন

১) পপুলেশন কি? ¶ -  বিশেষ কোন ভৌগলিক অঞ্চলে বসবাসকারী একই প্রজাতিভুক্ত জীব গোষ্ঠী কে বলা হয় পপুলেশন।  অর্থাৎ কোন বিশেষ বাস্তু তন্ত্রের বা বাসস্থানের কোন প্রজাতিভুক্ত সমস্ত জীবের সমাহারই হলো পপুলেশন বা জনসংখ্যা। ২) পপুলেশন এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি? ¶ - পপুলেশন এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো :-  ক) পপুলেশন ঘনত্ব বা পপুলেশন ডেন্সিটি  :- কোন ভৌগলিক অঞ্চলের একক ক্ষেত্রে বা একক আয়তনে যে পরিমাণে কোন প্রজাতির জীব বাস করে তাকেই পপুলেশন ঘনত্ব বলে । যেমন :- কোন একটি বনে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে যতগুলো হরিণ কিংবা যতগুলো হাতি থাকে প্রতি একর জমিতে যতগুলো আম গাছ থাকে সেই সংখ্যাটি কে পপুলেশন ঘনত্ব হিসেবে ধরা হয়। খ) নেটালিটি বা জন্মহার :- পপুলেশন প্রজাতির সদস্যরা যে হারে সন্তান-সন্ততি জন্ম দেয় তাকে বলে ন্যাটালিটি। অর্থাৎ  একক সময়ে জনন এর মাধ্যমে যে সংখ্যায় নতুন সদস্য পপুলেশনে যুক্ত হয় তাকে ন্যাটালিটি বলে। গ) মর্টালিটি বা  মৃত্যুহার :- একক সময়ে কোন পপুলেশন এ যে সংখ্যায় জীবের মৃত্যু ঘটে তাকে মর্টালিটি বা  মৃত্যুহার বলে। ...

সপ্তম শ্রেণী :- পলিথিন ও পলিমার

@  পলিথিন কি  পলিথিন হলো ইথিলিনের পলিমার ।এটি অত্যন্ত নমনীয় এবং জল রোধক পদার্থ । @ এর ব্যবহার উল্লেখ করো :- এর  ব্যবহার গুলি হল – টেবিলের ঢাকনা ,খেলনা ,সিমেন্টের বস্তা ,বৈদ্যুতিক তারের আচ্ছাদন প্রভৃতি প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয় । @ পলিমারের শ্রেণীবিভাগ কর এবং এদের ব্যবহার উল্লেখ করো । উৎসের উপর ভিত্তি করে পলিমারকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয় ১) প্রাকৃতিক পলিমার ২) সংশ্লেষিত বা কৃত্রিম পলিমার ৩) অর্ধ কৃত্রিম বা অর্ধ সংশ্লেষিত পলিমার । @ প্রাকৃতিক পলিমার :- প্রকৃতি থেকে অর্থাৎ প্রাণী এবং উদ্ভিদের দেহ থেকে যে সমস্ত পলিমার পাওয়া যায় তাদের প্রাকৃতিক পলিমার বলে । যেমন – সেলুলোজ, প্রোটিন  ইত্যাদি। @ কৃত্রিম পলিমার :- রসায়নাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরি পলিমারকে সংশ্লেষিত বা কৃত্রিম পলিমার বলে। যেমন - পলিইথিলিন, পিভিসি (PVC) ইত্যাদি। @ অর্ধ সংশ্লেষিত বা  অর্ধ কৃত্রিম পলিমার:- প্রাকৃতিক পলিমার এর সঙ্গে অন্য পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে কৃত্রিম ভাবে যে পলিমার তৈরি হয় তাকে অর্ধ সংশ্লেষিত বা অর্ধ কৃত্রিম পলিমার বলে ।যেমন :-সেলুলোজ নাইট্রেট প্রা...