শব্দ (SOUND)
শব্দ হলো এক ধরনের শক্তি । যা কোন বস্তু কণার কম্পনের ফলে সৃষ্টি হয়।
আমাদের গলায় অবস্থিত স্বরতন্ত্রী বা ভোকাল কর্ড ও একই ভাবে শব্দ উৎপন্ন করে। কথা বলার সময় ফুসফুস থেকে আসা নিঃশ্বাস বায়ু শ্বাসনালীর মধ্য দিয়ে গিয়ে স্বরতন্ত্রী তে কম্পন উৎপন্ন করে স্বরতন্ত্রী দ্বয়ের কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয় , যেটি কণ্ঠস্বর নামে পরিচিত। স্বরতন্ত্রী দায়ের স্থিতিস্থাপকতা নিয়ন্ত্রণ করে থাইরোঅ্যারিটেনয়েড পেশি।
একটি সুরশলাকার একটি বাহুতে রবারের হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হলে শব্দ উৎপন্ন হয় । এবার সূরশলাকার যে কোন একটা বাহুর গতি যদি খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেখা যাবে এ বাহুটা দ্রুত তার সামনের অবস্থান সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ে একই পথে যাতায়াত করছে এবং গতিপথের যে কোন একটি বিন্দু কে পর্যায়ক্রমে বিপরীত দিক থেকে অতিক্রম করছে এই ধরনের গতি হলো কম্পন বা দোলন।
শব্দের কম্পন সম্পর্কিত কয়েকটি রাশি :-
শব্দ কম্পন সম্পর্কিত কয়েকটি রাশি হল বিস্তার ,পর্যায় কাল , কম্পাঙ্ক।
বিস্তার কাকে বলে?
কম্পনশীল কনার সাম্যের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ সরণকে বিস্তার বলা হয়।
O একটি কম্পনশীল কনার সাম্য অবস্থান যেখান থেকে AB সরলরেখা টির মধ্যে কম্পিত হচ্ছে। OA এবং OB যথাক্রমে ডান দিকে এবং বাম দিকে সর্বোচ্চ সরণ অতএব OA =OB হল বিস্তার।
পর্যায় কাল কাকে বলে?
কম্পনশীল কোন কণা একটি পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করতে যে সময় নেয় তাকে পর্যায়কাল বলে।
কম্পাঙ্ক কাকে বলে?
কম্পনশীল কোন কণা 1 সেকেন্ডে যতবার পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করে তাকেই কম্পাঙ্ক বলা হয়।
দোলন ও কম্পন একি বলা হলেও সাধারনত কম্পাঙ্ক কম হলে কণার সেই গতিকে দোলন এবং কম্পাঙ্ক বেশি হলে কণার সেই গতিকে কম্পন বলে ।
কোন কম্পনশীল কনার 1 সেকেন্ডে পূর্ণ দোলন হয় 10 বার , তাহলে কণার কম্পাঙ্ক হবে 10Hz।
কোন কম্পনশীল কনার পর্যায় কাল T হলে T সেকেন্ডে কনার পূর্ণ দোলন হয় 1 বার । অর্থাৎ এক সেকেন্ড সময়ে কনার পূর্ণ দোলন হয় 1 /T বার। অতএব কম্পাঙ্ক (n) =1/T
শব্দ কঠিন তরল এবং গ্যাসীয় এই তিন ধরনের মাধ্যমের মধ্য দিয়েই বিস্তার লাভ করতে পারে এছাড়া পরীক্ষার সাহায্যে দেখা গেছে যে শব্দ বিস্তারের জন্য অবশ্যই জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয় শূন্যস্থান এর মধ্য দিয়ে কখনই শব্দ বিস্তার লাভ করতে পারে না সেই কারণে সূর্য বা অন্যান্য কোন নক্ষত্রে বিস্ফোরণ হলে আমরা সেই শব্দ শুনতে পাই না তার কারণ সূর্য কিংবা নক্ষত্র এবং পৃথিবীর মাঝে বেশিরভাগ স্থান শূন্য।
/✓ শব্দ কিভাবে বিস্তার লাভ করে কোন মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে ? এবং কোন মাধ্যম ছাড়া অর্থাৎ শূন্যস্থানে শব্দ বিস্তার লাভ করতে পারে কিনা ? কিংবা সূর্য বা অন্যান্য নক্ষত্রে অবিরত বিস্ফোরণ হয়ে চলেছে কিন্তু আমরা পৃথিবী থেকে সেই বিস্ফোরণের কোন শব্দ শুনতে পাই না কেন? শব্দ কঠিন মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে তার একটি উদাহরণ দাও ? শব্দ তরল মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে তার একটি উদাহরণ দাও ? শব্দ গ্যাসীয় মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে তার একটি উদাহরণ দাও?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন