সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সপ্তম শ্রেণী : পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা

সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান

পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা
মানবদেহের মধ্যে অবস্থিত প্রয়োজনীয় ধাতু গুলি কি কি?
@ মানব দেহ এবং অন্যান্য জীব দেহের গঠনে অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনীয় ধাতু গুলি হল সোডিয়াম,পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম,আয়রন,কপার,জিংক,ম্যাঙ্গানিজ,কোবাল্ট, প্রভৃতি
জীব দেহে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা
1 প্রাণী দেহের হাড়  এর প্রধান উপাদান হলো ক্যালসিয়াম ফসফেট যৌগ, তাই হাড়কে সুস্থ এবং মজবুত রাখতে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং দাঁতের গঠন হৃদপিণ্ড ও স্নায়ুর উত্তেজনা এবং পেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করা এবং রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করে। 
2 উদ্ভিদ দেহের কোষ পর্দা ও কোষ প্রাচীর গঠনে ক্যালসিয়াম অংশগ্রহণ করে
3 উদ্ভিদ কোষের বৃদ্ধিতেও ক্যালসিয়াম সাহায্য করে
 ক্যালসিয়ামের প্রধান প্রাণিজ উৎস ছোট মাছ
জীব দেহে পটাশিয়াম এর ভূমিকা
পটাশিয়াম আয়ন প্রাণী দেহের বৃদ্ধি রক্ত গঠন এবং অভিস্রবণ চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
উদ্ভিদ দেহের ক্লোরোফিল সংশ্লেষ প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং পত্ররন্ধের উন্মোচনে সাহায্য করে
 জীবদেহে আয়রনের ভূমিকা
প্রাণী দেহে রক্তের প্রধান উপাদান হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করে
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে লোহা অর্থাৎ আয়রন ভ্রুণের বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে
উদ্ভিদ দেহের ক্লোরোফিল সংশ্লেষ হিম, হিমা টিন এবং ফেরিক্রোম রঞ্জক পদার্থ গঠনে সাহায্য করে
আয়রন এর প্রাণিজ উৎস হল ছোট মাছ দুধ পনির এবং পাঠার যকৃত
আয়রন এর উদ্ভিজ্জ উৎস হল পালংশাক অঙ্কুরিত ছোলা ইত্যাদি
জীব দেহে সোডিয়াম আয়নের ভূমিকা আলোচনা করো
সোডিয়াম আয়ন কুশের অভিস্রবণ চাপ পেশির সংকোচন এবং বৃক্কের স্বাভাবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে
দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে
দেহের অ্যাসিড এবং ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে 

সোডিয়াম এর উদ্ভিজ্জ উৎস হলো ডাল সবুজ শাকসবজি কম গাজর
সোডিয়াম এর প্রাণিজ উৎস হলো দুধ মাছ মাংস পনির

জীবদেহে ম্যাঙ্গানিজ এর ভূমিকা কি
ম্যাঙ্গানিজ প্রাণীদেহে উৎসেচকের সহকারী হিসেবে কাজ করে
এবং উদ্ভিদ দেহে ক্লোরোফিল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
জীবদেহে জিংক এর ভূমিকা কি
জিংক প্রাণী দেহে লোহিত রক্তকণিকায় উৎসেচক এর উপাদান গঠনে সাহায্য করে
এবং উদ্ভিদ দেহে রাইবোজোম গঠনে অংশ নেয় 
কপার অর্থাৎ তামা জীবদেহে এর ভূমিকা কি
সন্ধিপদ প্রাণী যেমন চিংড়ি এদের দেহে রক্ত রঞ্জক হিসাবে হিমোসায়ানিন থাকে এই হিমোসায়ানিন গঠনে কপার এর ভূমিকা উল্লেখ যোগ্য
উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উৎসেচক গঠনে কপার অংশগ্রহণ করে
জীবদেহে জলের ভূমিকা
 জল জীব দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মানবদেহের প্রায় 70 শতাংশ জল উপস্থিত জল জীবদেহে একটি উত্তম দ্রাবক হিসাবে কাজ করে  জীবদেহে জলের ভূমিকা গুলি হল
1 জল জীবদেহের উত্তম পরিবাহক অর্থাৎ জীবদেহের পরিবহনে যেমন বৃক্ক দিয়ে জল শোষণ অন্ন্ত্র দিয়ে খাদ্য শোষণ শোষিত খাদ্যের পরিবহন  প্রভৃতি কাজে জল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
2 জল জীবদেহে কোষের প্রোটোপ্লাজম কে তরল রাখে
প্রাণী দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
4 জল জীবদেহের হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের উৎস হিসেবে কাজ করে
জীবদেহের গঠনে যে সমস্ত জৈব যৌগ গুলি অংশগ্রহণ করে তাদের নাম লেখ
জীব দেহ গঠনে অংশগ্রহণকারী জৈব যৌগ গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্রোটিন ভিটামিন নিউক্লিক এসিড ইত্যাদি
মানবদেহের অ্যাসিড এবং ক্ষারের ভারসাম্য বলতে কি বোঝো এবং অ্যাসিড এবং ক্ষারের ভারসাম্যের বিষয়টি কিসের উপর নির্ভরশীল এবং এই ভারসাম্য  বজায় রাখা জরুরি কেন
আমরা প্রতিদিন যে সমস্ত খাদ্য গ্রহণ করি তাদের মধ্যে উদ্ভিজ্জ খাদ্য গুলি প্রকৃতি হয় সাধারণত ভাবে ক্ষারীয় এবং প্রাণিজ খাদ্য গুলির প্রকৃতি হয় সাধারণত ভাবে আম্লিক। তা আমাদের এই খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে  অ্যাসিড বা অম্ল জাতীয় ও ক্ষার জাতীয় খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে অ্যাসিড এবং ক্ষারের সমতা বজায় রাখাকে অম্ল বা এসিড ক্ষারের ভারসাম্য বলা হয় 
এসিড ক্ষারের ভারসাম্য প্রধানত আমাদের দেহের মধ্যে ঘটে নানা ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে এছাড়াও আমরা আমাদের নিঃশ্বাস প্রক্রিয়ায় কতটা পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড দেহ থেকে নির্গত করি তার উপরেও নির্ভর করে। 
মানবদেহে অ্যাসিড এবং ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই জরুরী কারণ এসিড ক্ষারের ভারসাম্য বজায় না থাকলে দাওয়াত অস্থিসন্ধি ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও তাড়াতাড়ি বার্ধক্য চলে আসে প্রথমত ক্ষারীয় মাধ্যমে মানব দেহের বিভিন্ন কোষ ভালোভাবে কাজ করতে পারি রক্ত যদি নানা কারণে আম্লিক হয় তাহলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে বৃক্ষের মাধ্যমে সোডিয়াম পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম টেনে নেয়।

 মানব দেহ গঠনের 97 পার্সেন্ট অংশ জুড়ে রয়েছে চারটি মৌল সেগুলি হল কার্বন হাইড্রোজেন অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন

মানবদেহে কার্বন এর ভূমিকা
প্রোটিন ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের প্রধান উপাদান হলো কার্বন

হাইড্রোজেন এর প্রধান ভূমিকা
কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য গঠনে সাহায্য করে

মানব দেহে অক্সিজেনের প্রধান ভূমিকা
কোষের বিভিন্ন জীবজ প্রক্রিয়া সম্পাদনা সাহায্য করে

মানবদেহে নাইট্রোজেনের প্রধান ভূমিকা
প্রোটিন গঠনে নাইট্রোজেন সাহায্য করে

আমাদের দেহে প্রয়োজনীয় খাদ্য লবণের উৎস কি আমাদের দেহে প্রয়োজনীয় খাদ্য লবন এর বিভিন্ন প্রাণিজ উৎস হল দুধ মাখন ইত্যাদি পানীয় জল এবং উদ্ভিজ্জ উৎস হল বিভিন্ন রকম উদ্ভিদ থেকে পাওয়া খাদ্য
বর্ষাকালে খোলা অবস্থায় নুন থাকলে নুন গলে যায় কেন
আসলে নুন এর মূল উপাদান হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড এছাড়াও নুনে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড লবন মিশিয়ে থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড বায়ু থেকে জল শোষণ করতে পারে না কিন্তু ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড উদগ্রাহী পদার্থ বা জলাকর্ষী পদার্থ এরা বায়ু থেকে সরাসরি জল শোষণ করতে পারে ফলে ওই জলে খাদ্য লবন বা নুন দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং গলে যায়
আমাদের শরীরে আয়োডিনযুক্ত নুন প্রয়োজন কেন
আমরা যে খাদ্য লবন খাই তাতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে পটাশিয়াম আয়োডেট মেশানো থাকে পটাশিয়াম আয়োডাইড এর মধ্যে উপস্থিত আয়োডিন আমাদের শরীরের পক্ষে বিশেষ উপযোগী আমাদের শরীরের মধ্যে অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা আয়োডিনের উপরে নির্ভরশীল শরীরে আয়োডিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে কম হলে থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষরণ ব্যাহত হয় এর ফলে গলগন্ড রোগ হয় এছাড়া থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা কমে গেলে মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব রোগ হয়
সংরক্ষক হিসাবে নুন এর ব্যবহার লেখ
বরফ এবং নুনের মিশ্রণে তৈরি হিম মিশ্রণ মাছ মাংস সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়
পাকা তেতুল নুন মাখিয়ে রাখা হয় অনেকদিন ধরে ব্যবহার করার জন্য
লেবুর আচার তৈরি করার সময় নুন মাখিয়ে রোদে রাখা হয়

আমাদের শরীরের বেশির ভাগ রেচন ঘটে মূত্রের মাধ্যমে আমাদের প্রধান রেচন পদার্থ মূত্র এবং লবণ 
আমাদের রেচন অঙ্গ বৃক্ক

যদি কোন কারণে রক্তে লবণের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে মুত্রের পরিমাণ বাড়বে অর্থাৎ আমাদের রেচন অঙ্গ বৃক্কে বেশি পরিমাণ কাজ করতে হবে তাই বৃক্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই কারণে অতিরিক্ত নুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত
আমাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়াম এর ভূমিকা কি
শরীরে উপস্থিত বিভিন্ন উৎসেচক যে জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার বেগ বাড়ায় তাদের কার্যকারিতা ম্যাগনেসিয়াম বৃদ্ধি করে
রক্তের শ্বেত কণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে যা আমাদের দেহকে জীবাণু  দের হাত থেকে রক্ষা করে
শরীরে ভিটামিন ডি রিকেট রোগ  এবং পেশীর খিঁচুনি ইত্যাদি থেকে বাঁচায় ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন ডি  এর কার্যকারিতাকে বৃদ্ধি করে
এসিড কি
যে সকল যৌগের অনুগুলি জলীয় দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে ক্যাটায়ন গ্রুপে শুধুমাত্র হাইড্রোজেন আয়ন উৎপন্ন করে  তাদেরকে এসিড বলে
যেমন হাইড্রোক্লোরিক এসিড(HCL) নাইট্রিক এসিড(HNO3) সালফিউরিক এসিড(H2SO4) এসিটিক অ্যাসিড (CH3COOH)কার্বনিক এসিডH2CO3) ইত্যাদি
এক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখা দরকার যে এসিড মাত্রই হাইড্রোজেন ঘটিত যৌগ কিন্তু সকল হাইড্রোজেন ঘটিত যৌগ মাত্রই এসিড নয় তার কারণ হাইড্রোজেন ঘটিত  যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন দেয় কিংবা অন্য ভাবে বলা যেতে পারে যে সমস্ত হাইড্রোজেন ঘটিত যৌগ কারকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ এবং জল উৎপন্ন করে বা যে সকল হাইড্রোজেন ঘটিত যৌগ ধাতু অধাতু মৌল দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত হতে পারে তাদেরকেই অ্যাসিড বলে 
এসিড এর শ্রেণীবিভাগ
এসিড এর শ্রেণীবিভাগ আমরা তিনটি উপায়ে করতে পারি প্রথমত উৎস অনুযায়ী 
দ্বিতীয়তঃ উপাদান অনুযায়ী 
তৃতীয়তঃ  বিয়োজন ক্ষমতা অনুযায়ী
উৎস অনুযায়ী এসিড এর শ্রেণীবিভাগ
উৎস অনুযায়ী এসিড কি আমরা দুই ভাগে ভাগ করতে পারি অজৈব এসিড এবং জৈব এসিড
অজৈব পদার্থ বা খনিজ পদার্থ থেকে যে সমস্ত এসিড তৈরি হয় তাদেরকেই অজৈব এসিড বলা হয়
যেমন সাধারণ লবণ থেকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড সালফার থেকে সালফিউরিক এসিড  নাইটার বা সূরা বা পাশে পটাশিয়াম নাইট্রেট থেকে নাইট্রিক অ্যাসিড
# জৈব এসিড :-
যে সমস্ত এসিড মূলত কার্বন পরমাণু যুক্ত এবং উদ্ভিদ এবং প্রাণীর দেহ থেকে পাওয়া যায় তাদেরকে জৈব এসিড বা অর্গানিক অ্যাসিড বলে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে লেবু থেকে সাইট্রিক এসিড, তেতুল থেকে টারটারিক এসিড অ্যাপেল থেকে ম্যালিক এসিড  ইত্যাদি।
@ উপাদান অনুযায়ী এসিড এর শ্রেণীবিভাগ:-
উপাদান অনুযায়ী এসিড কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়  1.হাইড্রাসিড 2. অক্সি এসিড
1.হাইড্রাসিড
যে সমস্ত এসিডের অণুতে অক্সিজেন থাকে না হাইড্রোজেন এবং অন্য কোন মৌল ও মূলক থাকে তাদের হাইড্রাসিড বলে
যেমন হাইড্রোক্লোরিক এসিড( HCL)
2. অক্সি এসিড
যে সমস্ত এসিডের অণুতে এক বা একাধিক অক্সিজেন পরমাণু থাকে তাদের অক্সি এসিড বলে।                   যেমন:- সালফিউরিক এসিড(H2SO4) ,নাইট্রিক অ্যাসিড(HNO3)।
@ বিয়োজন ক্ষমতা অনুযায়ী এসিড এর শ্রেণীবিভাগ
বিয়োজন ক্ষমতা অনুযায়ী এসিড কে দুই ভাগে ভাগ করা হয় 1. তীব্র এসিড ও 2.মৃদু এসিড
1.তীব্র এসিড :-
যে সমস্ত এসিড জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ বিয়োজিত হয়ে অধিক সংখ্যায় হাইড্রোজেন আয়ন উৎপন্ন করে তাদের তীব্র এসিড বলে
যেমন হাইড্রোক্লোরিক এসিড( HCL),সালফিউরিক এসিড( H2SO4), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3)।
2.মৃদু এসিড :-
যে সমস্ত এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক বিজয় কম সংখ্যার হাইড্রোজেন আয়ন উৎপন্ন করে তাদের মৃদু এসিড বলে
যেমন কার্বনিক এসিড( H2CO3), এসিটিক এসিড (CH3COOH) ইত্যাদি।


@ ক্ষারক কাকে বলে ?
যে সমস্ত ধাতব অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইড এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাদের ক্ষারক বলে ।
যেমন ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO) ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Ca(OH)2] জিংক অক্সাইড (ZnO) সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) 
@ ক্ষার কাকে বলে?
যে সমস্ত ক্ষারক জলে দ্রাব্য তাদের বলা হয় ক্ষার ।
অন্যভাবে বলা যেতে পারে 
যে সমস্ত ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড জলে দ্রবীভূত হয়ে শুধুমাত্র অ্যানায়ন রূপে OH- আয়ন দেয় তাদেরকেই ক্ষার বা অ্যালকালি বলা হয়। 
যেমন সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড( NaOH ) পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH) ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Ca(OH)2]
NaOH = Na+ +OH-
KOH=K++OH-
@ সব ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সব ক্ষারক ক্ষার নয় কেন ব্যাখ্যা করো ?
ক্ষারক সাধারণত একটি ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সর্বদা লবণ এবং জল উৎপন্ন করে এই সমস্ত ক্ষারকের মধ্যে যেগুলি জলে দ্রবীভূত হতে পারে এবং জলে দ্রবীভূত হয়ে অ্যানায়ন হিসাবে শুধুমাত্র OH-আয়ন দেয় তারাই হল ক্ষার। কারকের কিছু অংশ আছে যারা জলে দ্রবীভূত হতে পারে না সেই গুলি কখনো কার হতে পারে না তাই বলা যায় ক্ষারক এর কিছু অংশ ক্ষার সবগুলি নয়। 
যেমন :- NaOH একটি ক্ষারক এবং Al(OH) 3 ও একটি ক্ষারক কিন্তু NaOH একটি ক্ষার কারন NaOH জলে দ্রাব্য এবং জলে দ্রবীভূত হয়ে Na+ এবং OH - আয়নে বিশ্লিষ্ট হয় অন্যদিকে Al(OH) 3 জলে বিশ্লিষ্ট হয়ে OH - আয়ন উৎপন্ন করে না। তাই Al(OH) 3 ক্ষারক কিন্তু ক্ষার নয়। সুতরাং বলা যায় সব ক্ষার ক্ষারক হতে পারে কিন্তু সব ক্ষারক ক্ষার নয়। 
 @ এসিড ক্ষার নির্দেশক কাকে বলে ?
যে সকল জৈব যৌগ অ্যাসিড এবং ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়ায় উপস্থিত থেকে নিজেদের বর্ণের পরিবর্তন দ্বারা এসিড ক্ষার বিক্রিয়ায় প্রশমন নির্দেশ করে তাদের বলে এসিড ক্ষার নির্দেশক।
 যেমন :- ফেনলপথ্যালিন, মিথাইল অরেঞ্জ, লিটমাস ইত্যাদি কয়েকটি হলো এসিড ক্ষার নির্দেশক ।
©ফেনলপথ্যালিন অ্যাসিড দ্রবণের বর্ণহীন হয়, ক্ষারীয় দ্রবণে লালচে বেগুনি হয়, এবং প্রশম দ্রবণে বর্ণহীন হয়। 
© মিথাইল অরেঞ্জ অ্যাসিডের দ্রবণে গোলাপি লাল হয়, ক্ষারীয় দ্রবণে হলুদ হয় এবং প্রশম দ্রবণে হলুদ বর্ণ ধারণ করে। 
© লিটমাস অ্যাসিডে দ্রবণে লাল হয় ,ক্ষারীয় দ্রবণে নীল হয় এবং প্রশম দ্রবণে বেগুনি বর্ণ ধারণ করে।
@ কিসের সঙ্গে কিসের বিক্রিয়ায় কোন নির্দেশক ব্যবহার করা হয় ?
একটি তীব্র এসিড সালফিউরিক এসিড এবং একটি তীব্র ক্ষার সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর প্রশম বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে  নির্দেশক হিসেবে যে কোন নির্দেশক ব্যবহার করা যেতে পারে
একটি তীব্র এসিড সালফিউরিক অ্যাসিড এবং একটি মৃদু ক্ষার অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এদের প্রশম বিক্রিয়ায়  মিথাইল অরেঞ্জ ব্যবহার করা হয়
একটি মৃদু এসিড এসিটিক অ্যাসিড এবং একটি তীব্র ক্ষার সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর প্রশম বিক্রিয়ায় ফেনলপথ্যালিন নির্দেশক ব্যবহার করা হয়। 
@ প্রশমন কাকে বলে ?
এসিডের সঙ্গে ক্ষারের বিক্রিয়া ঘটলেই অ্যাসিড এবং ক্ষারের ধর্ম সম্পূর্ণভাবে লোপ পেয়ে লবণ ও জল উৎপন্ন করে এই প্রক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলা হয়
@ প্রশমন ক্ষণ কাকে বলে ?
একটি বিকারের ক্ষার দ্রবণে কয়েক ফোঁটা নির্দেশক যোগ করে কয়েক ফোঁটা অ্যাসিড যোগ করতে থাকলে ধীরে ধীরে দ্রবণে বর্ন ক্রমশ পরিবর্তিত হতে থাকে, যে মুহূর্তে ক্ষার এবং এসিডের দ্রবণ সম্পূর্ণরূপে বর্ণহীন হয়ে যায় সেই মুহূর্তটিকে বলা হয় প্রশমন ক্ষণ। 
@ কতগুলো এসিডের নাম এবং সংকেত
ফরমিক এসিড HCOOH
নাইট্রিক এসিড HNO3
সালফিউরিক এসিড H2SO4 
হাইড্রোক্লোরিক এসিডHCL 
এসিটিক এসিড CH3COOH
ফসফরিক অ্যাসিড H3PO4
সালফিউরাস এসিড H2SO3
কার্বনিক অ্যাসিডH2CO3
@ PH স্কেল কি?
কোন দ্রবণ কতটা আম্লিক বা কতটা ক্ষারীয় তা চোখে দেখে বা কোন নির্দেশক এর উপস্থিতিতে বোঝা যায় না যে স্কেলের সাহায্যে অ্যাসিডের অম্লত্ব এবং ক্ষারকের ক্ষারকীয়তা সঠিকভাবে নির্ধারণ ও পরিমাপ করা হয় তাকেই PH স্কেল বলা হয়।


PH  স্কেল এর সাহায্যে কোন  দ্রবণ আম্লীক না ক্ষারীয় না প্রশম তা সহজেই বোঝা যায়।
* কোন দ্রবণ এর PH যদি 7  মাত্রার নিচে হয় তাহলে ওই দ্রবণ টিকে এসিডের দ্রবণ আম্লিক দ্রবণ বলা হয়।
*আবার কোন দ্রবণের PH যদি 7  মাত্রার বেশি হয় তাহলে ওই দ্রবণ টিকে ক্ষারীয় দ্রবণ বলা হয়।
* এবং কোন দ্রবণের PH এর মাত্রা যদি 7 এর সমান হয় তাহলে ওই দ্রবণটি প্রশম দ্রবণ হিসেবে ধরা হয়।
@ সমুদ্র লবণ এর মধ্যে উপস্থিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য যৌগের নাম লেখ :-
সমুদ্র লবনের মধ্যে 47 টি যোগ উপস্থিত এদের মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য যোগ হলো 
* ক্লোরাইড যৌগ :- যেমন সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl),ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড(Mgcl2)।
* সালফেট যৌগ :-যেমন ম্যাগনেসিয়াম সালফেট(MgSo4) ,পটাশিয়াম সালফেট( K2So4),ক্যালসিয়াম সালফেট (CaSo4)
* ব্রোমাইড যৌগ:-  ম্যাগনেসিয়াম ব্রোমাইড (MgBr2)
* কার্বনেট যৌগ :- ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCo3)
@কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী:-
©শামুক এবং ঝিনুকের খোল ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে তৈরি।
© জলের মধ্যে সূর্যের আলো চলাচল করতে পারে বলে খাদ্য তৈরি করতে পারে তিনটি জলজ উদ্ভিদের নাম স্পাইরোগাইরা ক্ল্যামাইডোমোনাস এবং ভলভক্স ।
©আমাদের দেহ গঠনে অতি প্রয়োজনীয় 4 টি ধাতু হলো সোডিয়াম ,পটাশিয়াম ,ক্যালসিয়াম এবং আয়রন ।
©সজীব কোষে সংশ্লেষিত ক্ষুদ্র অনু ও বৃহৎ অনুকে একত্রে জীবজ অনু বলে।কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন নিউক্লিক এসিড ইত্যাদি হল বিভিন্ন প্রকার জীবজ অনু।
©গন্ডার ,তিমি, ইত্যাদি প্রাণীর চামড়ার নিচে লিপিডের স্তর আছে।
©আমাদের পাকস্থলী তে যে এসিড থাকে সেটি হল হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড যার অপর নাম মিউরিয়েটিক অ্যাসিড।
©এসিডের উপস্থিতিতে নীল লিটমাস কাগজ লাল হয়ে যায়।
©ক্ষারের উপস্থিতিতে লাল লিটমাস কাগজ নীল হয়ে যায়।
©নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকার বিশিষ্ট পদার্থকে বলা হয় কেলাসাকার পদার্থ। যেমন:-  সাধারণ লবণ অর্থাৎ ©সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং চিনি ।
©থাইরয়েড গ্রন্থি মানবদেহের ষড়যন্ত্রের দুই পাশে অবস্থিত।থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন হরমোন নিঃসৃত হয়।
©থাইরক্সিন হরমোন যদি অধিক পরিমাণে খরিত হয় তাহলে গয়টার বা গলগন্ড রোগ হয়  এবংথাইরক্সিন হরমোনের কম ক্ষরণে মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব রোগ হয়।
©ছোট মাছে থাকে ক্যালসিয়াম জাতীয় দ্রব্য।
©পাতিলেবু তে থাকে সাইট্রিক এসিড।
©শর্করা জাতীয় খাদ্য কি জ্বালানি খাদ্য বলা হয়।
©সোডিয়াম ক্লোরাইড কে টেবিল সল্ট বলা হয়।
©পাকস্থলীতে যে এসিড ক্ষরিত হয় অর্থাৎ পাকস্থলীর রসের পিএইচ এর মান হলো 0.9 থেকে 1.05।
©আমাদের শরীরে অস্থির ভেতরটি জলীয় তরল এবং রক্ত পূর্ণ থাকে।
©মানুষ এর দেহে জলের পরিমাণ প্রায় 70 শতাংশ এবং কার্বন হাইড্রোজেন অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন এই চারটি মৌলের মিলিত ঘর মানব দেহের ওজনের প্রায় 97 শতাংশ।
©ব্যাটারির ভেতর সালফিউরিক এসিড ব্যবহার করা হয়।
©গয়নার দোকানে হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও নাইট্রিক এসিডের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয় একে অ্যাকোয়া রিজিয়া অম্লরাজ বলে।
©কেক এবং পাউরুটি তৈরি করতে যে লবণ টি ব্যবহার করা হয় তার নাম সোডিয়াম বাই কার্বনেট।
©নরম পানীয় গুলির মধ্যে কার্বনিক অ্যাসিড থাকে।
©অক্সিজেনের পরিমাণ পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে মানবদেহে বেশি।
©আমাদের দেহের হাড়ের প্রধান উপাদান হলো ক্যালসিয়াম।
©অ্যাসিটিক এসিডের জলীয় দ্রবণ কে ভিনিগার বলা হয়।
©আমাদের দেহ থেকে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে গেলে দেহ ক্ষারীয় হয়।
©বৃক্ষ এবং পাকস্থলী মানুষের দেহে অ্যাসিড এবং ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।
©পুকুরের জলে অম্লতা কমানোর জন্য পুকুরে মাছ চাষ করার সময় জলে চুন ব্যবহার করা হয়।
©বাথরুম পরিষ্কার করার সময় যে এসিড ব্যবহার করা হয় সেটি হলো হাইড্রোক্লোরিক এসিড বা মিউরিয়েটিক এসিড।
©জৈব এসিডের সোডিয়াম পটাশিয়াম যৌগ হলো সাবান চর্বি এবং তেলের সঙ্গে ক্ষারকের বিক্রিয়ায় সাবান তৈরি হয়।


প্রশ্ন ::- 
@ নিচের কোন কোন যৌগ গুলির এসিড কোন গুলো খারাপ এবং কোনগুলি প্রশম লেখ?
লেবুর রস, চুনের জল ,ফুচকার জল ,মিউরিয়েটিক অ্যাসিড, সাবান জল ,সোডার জল ,খাবার জল ,সাজা পান ,কাটা কাঁচা আলুর টুকরো ,কাটা টমাটো ,ঘোল, বড় ব্যাটারির জল, দই।
  1.  খাদ্য লবণের চারটি ব্যবহার লেখ।
  2. পিঁপড়ের হুলে কি ধরনের এসিড থাকে?
  3. প্রশমন কাকে বলে?
  4. পিএইচ স্কেল কি?
  5. মানব দেহে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা লেখ।
  6. ক্ষারক কাকে বলে?
  7. মানবদেহে সোডিয়ামের গুরুত্ব লেখ?
  8. এসিড এর শ্রেণীবিভাগ কর ও একটি ছকের সাহায্যে।
  9. একটি মৃদু এসিড এবং একটি তীব্র এসিড এর উদাহরণ দাও।
  10. সালফিউরিক এসিড এটি অজৈব এসিড সেই রকম একটি জৈব এসিড এর উদাহরণ দাও।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নবম শ্রেণী :: ভৌত বিজ্ঞান :: অধ্যায় :-6 :: তাপ

@ তাপ এক প্রকার শক্তি যা গ্রহণে বস্তুর উষ্ণতা বাড়ে এবং যা বর্জন করলে বস্তুর উষ্ণতা কমে। @  অবস্থার পরিবর্তন না ঘটিয়ে যদি শুধু কেবলমাত্র উষ্ণতা  বৃদ্ধি করে তাহলে সেই তাপকে বলা হয় বোধগম্য তাপ। বস্তুর উষ্ণতা বৃদ্ধি থার্মোমিটারের সাহায্যে পরিমাপ করা হয় @ উষ্ণতার পরিবর্তন না ঘটিয়ে শুধু কেবলমাত্র অবস্থার পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় তাপ হল লীন তাপ। লীন তাপ এর মাত্রীয় সংকেত - L^2T^-2। @ অন্যভাবে লীন তাপ এর সংজ্ঞা দেওয়া যেতে পারে:- নির্দিষ্ট চাপে একক ভরের কোন পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে পরিমান তাপ প্রয়োগ বা নিষ্কাশন করতে হয় সেই পরিমাণ তাপকে ওই পদার্থের সংশ্লিষ্ট অবস্থার পরিবর্তনের লীন তাপ বলে। @ ক্যালরিমিতির মূলনীতি :- ভিন্ন উষ্ণতার একাধিক বস্তুকে  পরস্পরের সংস্পর্শে আনা হলে বস্তু গুলির মধ্যে  তাপের আদান প্রদান ঘটে যদি অন্য কোন ভাবে তাপক্ষয় না হয় তাহলে উষ্ণ বস্তুগুলি দ্বারা বর্জিত তাপ এবং শীতল বস্তুগুলি  দ্বারা গৃহীত তাপ সমান হয় এটাই ক্যালরিমিতির মূলনীতি। @ অর্থাৎ কোন বস্তু দ্বারা গৃহীত তাপ = বস্তুর ভর × বস্তুর আপেক্ষিক তাপ × উষ্ণতার ...

দশম শ্রেণী : জীবন বিজ্ঞান : পপুলেশন

১) পপুলেশন কি? ¶ -  বিশেষ কোন ভৌগলিক অঞ্চলে বসবাসকারী একই প্রজাতিভুক্ত জীব গোষ্ঠী কে বলা হয় পপুলেশন।  অর্থাৎ কোন বিশেষ বাস্তু তন্ত্রের বা বাসস্থানের কোন প্রজাতিভুক্ত সমস্ত জীবের সমাহারই হলো পপুলেশন বা জনসংখ্যা। ২) পপুলেশন এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি? ¶ - পপুলেশন এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো :-  ক) পপুলেশন ঘনত্ব বা পপুলেশন ডেন্সিটি  :- কোন ভৌগলিক অঞ্চলের একক ক্ষেত্রে বা একক আয়তনে যে পরিমাণে কোন প্রজাতির জীব বাস করে তাকেই পপুলেশন ঘনত্ব বলে । যেমন :- কোন একটি বনে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে যতগুলো হরিণ কিংবা যতগুলো হাতি থাকে প্রতি একর জমিতে যতগুলো আম গাছ থাকে সেই সংখ্যাটি কে পপুলেশন ঘনত্ব হিসেবে ধরা হয়। খ) নেটালিটি বা জন্মহার :- পপুলেশন প্রজাতির সদস্যরা যে হারে সন্তান-সন্ততি জন্ম দেয় তাকে বলে ন্যাটালিটি। অর্থাৎ  একক সময়ে জনন এর মাধ্যমে যে সংখ্যায় নতুন সদস্য পপুলেশনে যুক্ত হয় তাকে ন্যাটালিটি বলে। গ) মর্টালিটি বা  মৃত্যুহার :- একক সময়ে কোন পপুলেশন এ যে সংখ্যায় জীবের মৃত্যু ঘটে তাকে মর্টালিটি বা  মৃত্যুহার বলে। ...

সপ্তম শ্রেণী :- পলিথিন ও পলিমার

@  পলিথিন কি  পলিথিন হলো ইথিলিনের পলিমার ।এটি অত্যন্ত নমনীয় এবং জল রোধক পদার্থ । @ এর ব্যবহার উল্লেখ করো :- এর  ব্যবহার গুলি হল – টেবিলের ঢাকনা ,খেলনা ,সিমেন্টের বস্তা ,বৈদ্যুতিক তারের আচ্ছাদন প্রভৃতি প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয় । @ পলিমারের শ্রেণীবিভাগ কর এবং এদের ব্যবহার উল্লেখ করো । উৎসের উপর ভিত্তি করে পলিমারকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয় ১) প্রাকৃতিক পলিমার ২) সংশ্লেষিত বা কৃত্রিম পলিমার ৩) অর্ধ কৃত্রিম বা অর্ধ সংশ্লেষিত পলিমার । @ প্রাকৃতিক পলিমার :- প্রকৃতি থেকে অর্থাৎ প্রাণী এবং উদ্ভিদের দেহ থেকে যে সমস্ত পলিমার পাওয়া যায় তাদের প্রাকৃতিক পলিমার বলে । যেমন – সেলুলোজ, প্রোটিন  ইত্যাদি। @ কৃত্রিম পলিমার :- রসায়নাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরি পলিমারকে সংশ্লেষিত বা কৃত্রিম পলিমার বলে। যেমন - পলিইথিলিন, পিভিসি (PVC) ইত্যাদি। @ অর্ধ সংশ্লেষিত বা  অর্ধ কৃত্রিম পলিমার:- প্রাকৃতিক পলিমার এর সঙ্গে অন্য পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে কৃত্রিম ভাবে যে পলিমার তৈরি হয় তাকে অর্ধ সংশ্লেষিত বা অর্ধ কৃত্রিম পলিমার বলে ।যেমন :-সেলুলোজ নাইট্রেট প্রা...