বাবর 1526 খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে জয়লাভ করে এবং ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। পিতার দিক থেকে বাবর তৈমুর লং এর উত্তরসূরী। মাতার দিক থেকে চেঙ্গিস খাঁর উত্তরসূরী। পানিপথের প্রথম যুদ্ধের পর বাবর নিজেকে দিল্লির বাদশা বলে ঘোষণা করেন। খানুয়ার যুদ্ধ 1527 খ্রিস্টাব্দে হয় বাবর এবং রানা সংগ্রাম সিং এর মধ্যে। খানুয়ার যুদ্ধে বাবর জয়লাভ করেন। গোয়ালিয়রের চান্দেরি দুর্গের মেদিনী রায়ের নেতৃত্বে রাজপুত্র সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছিল এবং বাবরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল এই যুদ্ধে মেদিনী রায়কে পরাজিত করে চান্দেরি দুর্গ দখল করেন বাবর। 1529 খ্রিস্টাব্দে গঙ্গা এবং ঘর্ঘরা নদীর সঙ্গমস্থলে বাবর মাহমুদ লোদীকে পরাজিত করেন এবং এই যুদ্ধ ঘর্ঘরার যুদ্ধ নামে পরিচিত। বাবর উজবেগি ও তুর্কিদের কাছ থেকে তুঘলুমা যুদ্ধনীতি আয়ত্ত করেন। বাবর যুদ্ধক্ষেত্রে রুমি পদ্ধতি অনুসরণ করেন। বাবর পানিপথের প্রথম যুদ্ধে প্রথম আগ্নেয়াস্ত্রসহ ব্যবহার করেন। বাবর এর আত্মজীবনী তুজুক ই বাবরি তুর্কি ভাষায় রচিত একটি লেখা। বাবুর দুটি মসজিদ স্থাপন করেন প্রথমটি পানিপথের কাবুলিবাগে
জৈন ধর্মের মতে বহু প্রাচীনকাল থেকে কতজন তীর্থঙ্কর প্রচার করে গেছেন 24 জন। সর্ব প্রথম তীর্থঙ্কর ছিলেন ঋষভদেব। সর্বশেষ তীর্থঙ্কর ছিলেন মহাবীর বর্ধমান। ত্রয়োবিংশ তীর্থঙ্কর ছিলেন পার্শ্বনাথ। পার্সোনাথ প্রবর্তিত চতুর্যামের তিনটি হলো অহিংসা ,সত্য এবং আচৌর্য। এর চতুর্থটি হলো অপরিগ্রহ। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতকে কোশল রাজবংশে পার্শ্বনাথ এর জন্ম হয়। মহাবীরের জন্ম হয় আনুমানিক 540 খ্রিস্ট পূর্বাব্দে। মহাবীরের পিতার দেওয়া নাম ছিল বর্ধমান। মহাবীরের মাতা ছিলেন লিচ্ছবি বংশীয় রাজকন্যা ত্রিশলা। মহাবীরের স্ত্রীর নাম ছিল যশোদা। মহাবীর 30 বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করেন। মাত্র 12 বছর কঠোর সাধনা করেন ঋতু পালিকা নদীর তীরে। মহাবীরের কৈবল্য বা সিদ্ধিলাভ করার পর নাম হয়েছিল জিন বা জিতেন্দ্রিয়। মহাবীরের পাঁচটি নীতি পঞ্চমহাব্রত নামে পরিচিত। সত্য বিশ্বাস, সত্য জ্ঞান, সত্য আচরন এই তিনটি হলো মহাবীর এর ত্রিরত্ন। ত্রিরত্ন এর সাহায্যে সিদ্ধশিলা লাভ করা যায়। ভদ্রবাহুর নেতৃত্বে দাক্ষিণাত্যের জৈন দের বলা হয় দিগম্বর। স্থূল ভদ্রের নেতৃত্বে দাক্ষিণাত্যের জৈনদের বলা হয় শ্বেতাম্বর। জৈনশ্রমন ভদ্রবাহু